গঠনতন্ত্র
হোম / আমাদের সম্পর্কে / গঠনতন্ত্র
" গঠনতন্ত্র "
গঠনতন্ত্র
বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস)
বৃটিশ ভারতের সাবর্ডিনেট ইঞ্জিনীয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন (সিপিডব্লিউডি), সাবর্ডিনেট ইঞ্জিনীয়ারিং সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন (সি এন্ড বি), পরবর্তীতে ইস্ট পাকিস্তান সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনীয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার সমিতি (ইমারত) এবং বাংলাদেশ গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাগডিপস) সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার সমিতি (পিডব্লিউডি) এর গঠনতন্ত্র ২২ অক্টোবর ১৯৭৮ ইংরেজী তারিখে গৃহীত হয় এবং ১৩ মে ১৯৮৭ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস) নাম ধারণ করে।
উক্ত গঠনতন্ত্রের বর্তমান সংশোধিত রূপ।
গৃহীতঃ ২২ অক্টোবর, ১৯৭৮
১ম সংশোধনীঃ ২৩ মার্চ, ১৯৮০
২য় সংশোধনীঃ ১৮ মে, ১৯৮১
৩য় সংশোধনীঃ ১৩ মে, ১৯৮৭
৪র্থ সংশোধনীঃ ১৯ মে, ১৯৮৯
৫ম সংশোধনীঃ ৯ মার্চ, ১৯৯১
৬ষ্ঠ সংশোধনীঃ ১৭ মার্চ, ১৯৯৫
৭ম সংশোধনীঃ ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৬
৮ম সংশোধনীঃ ১৪ এপ্রিল, ২০০৬
৯ম সংশোধনীঃ ১০ এপ্রিল, ২০০৯
১০ম সংশোধনীঃ ১৮ মে, ২০১২
১১তম সংশোধনীঃ ০১ মে, ২০১৪
১২তম সংশোধনীঃ ২৪ মার্চ, ২০১৭
১৩তম সংশোধনীঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
১। নামকরণ, কার্যালয় ও মনোগ্রাম ঃ
ক) নামঃ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি।
খ) প্রধান কার্যালয়ঃ পূর্ত ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা ১০০০।
গ) মনোগ্রামঃ প্রচ্ছদে ব্যবহৃত।
২। অনুচ্ছেদ ও সংজ্ঞাঃ
(ক) বাপিডিপ্রকৌসঃ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি।
(খ) সমিতিঃ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি।
(গ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীঃ যে সকল ব্যক্তি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।
(ঘ) সদস্যঃ পিডব্লিউডি’তে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা তদুর্ধ্ব পদে কর্মরত সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী।
(ঙ) পরিষদঃ সদস্যদ্বারা নির্বাচিত সংসদ।
(চ) নির্বাহী সদস্যঃ পরিষদ/কমিটি সমূহের সদস্য।
(ছ) গঠনতন্ত্রঃ সমিতি’র গঠনতন্ত্র।
(জ) বিধিসমূহঃ গঠনতন্ত্রের আওতায় সমিতি’র জন্য প্রযোজ্য নিয়মাবলী।
(ঝ) নিয়ন্ত্রণঃ গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিধিসমূহ প্রয়োগ।
(ঞ) কর্মকর্তাঃ সমিতি’র সদস্যদ্বারা নির্বাচিত কেন্দ্রীয়/জেলা কমিটি’র সদস্য।
(ট) সাধারণ সভাঃ সমিতি’র সদস্যদের সভা।
(ঠ) নোটিশঃ সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরযুক্ত সভা আহবানের বিজ্ঞপ্তি।
(ড) কার্যকালঃ ৩ (তিন) বছর। তবে রাষ্ট্রীয় ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে বিদ্যমান কমিটি পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাববে।
(ঢ) ধারা/দফাঃ গঠনতন্ত্রের কোন বিধি বা উপ-বিধি।
(ণ) অনুচ্ছেদঃ গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ।
(ত) বিভাগঃ কয়েকটি জেলার সমন্বয়ে গঠিত (প্রশাসনিক) বিভাগ।
(থ) কেন্দ্রীয় পরিষদঃ সমিতি’র কেন্দ্রীয় পরিষদ অর্থাৎ পিডব্লিউডি’তে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
(দ) জেলা কমিটিঃ পিডব্লিউডি’তে কর্মরত এবং জেলাতে অবস্থানরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
(ধ) জেলাঃ কয়েকটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত (প্রশাসনিক) জেলা।
(ন) উপ-কমিটিঃ কেন্দ্রীয় পরিষদ/ জেলা কমিটি কর্তৃক মনোনীত বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত অস্থায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ।
(প) কাউন্সিলরঃ সমিতির নীতি নির্ধারণী সদস্য।
(ফ) কাউন্সিল অধিবেশনঃ কাউন্সিলরদের সভা।
(ব) কাউন্সিলঃ কাউন্সিলর দ্বারা গঠিত সমিতি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ।
(ভ) উপদেষ্টা পরিষদঃ কেন্দ্রীয় পরিষদকে পরামর্শ প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক গঠিত পরিষদ।
৩। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
(ক) সংগঠন হিসেবে এই সমিতি হবে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। কোনরূপ রাজনৈতিক, রাষ্ট্রবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভোবে জড়িত থাকবে না।
(খ) সমিতি’র অন্তর্গত কিংবা বহির্ভূত পিডব্লিউডি’র সকল কর্মচারিদের মধ্যে পারস্পরিক সদ্ভাব, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা অর্জন করা।
(গ) বাপিডিপ্রকৌস এর সকল সদস্যের বিধিবদ্ধ ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার নিশ্চিত করা।
(ঘ) পদ্ধতিগত উপায়ে সকল সদস্যের চাকরিগত সুযোগ-সুবিধা যেমনঃ চাকরির নিশ্চয়তা, পদমর্যাদা, পদোন্নতি, বাসস্থান, যাতায়াত এবং চিকিৎসা ইত্যাদির ন্যায্য অধিকার আদায় করা।
(ঙ) সমিতি’র সদস্যগণের উপর নির্ভরশীলদের (যেমনঃ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) সার্বিক মঙ্গলার্থে প্রচেষ্টা চালানো।
(চ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের শারিরীক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নকল্পে সংঘবদ্ধ হওয়া।
(ছ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা।
(জ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সাথে উচ্চ কিংবা নিম্নতম কর্মচারিদের পারস্পরিক সদ্ভাব, সৌহার্দ্যমূলক সম্প্রীতি বজায় রাখা।
(ঝ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের স্বনির্ভর হওয়ার নিমিত্তে কল্যাণকর কার্য যেমনঃ সমবায় গঠন, কুটির শিল্পায়িতকরণ, তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থাকরণ, মহিলাদের (ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের স্ত্রী ও কন্যা) জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও দুস্থদের মধ্যে ঋণ ও সাহায্য মঞ্জুরী প্রভৃতি মানবিক কাজে তৎপর হওয়া।
(ঞ) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হিতার্থে আত্মসম্মান, ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে এই সমিতি বদ্ধপরিকর। সমিতি’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিধিবদ্ধ উপায়ে যে কোন পন্থা অবলম্বন।
(ট) এই সমিতি একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সার্বিক স্বার্থে গঠিত অন্যান্য সংগঠনের সাথে সহযোগিতা ও সহ-অবস্থানে প্রস্তুত।
(ঠ) সমিতি’র অর্জিত আয় ও সম্পত্তি যা সম্পূর্ণভাবে সমিতি’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ব্যয় করা।
(ড) কারিগরী ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে উপায় উদ্ভাবন করা।
(ঢ) কারিগরী পেশায় উৎসাহ যোগানো।
(ণ) দেশ গঠনে ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে কারিগরী কৃৎকৌশলের উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি সাধন করা।
(ত) কল-কারখানায়, ক্ষেতে-খামারে, মাঠে-ময়দানে, জলে-স্থলে কারিগরী পেশাকে ফলপ্রসূকরণ ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করণ।
(থ) কারিগরী পেশাকে জনহিতকর পেশায় যথার্থ রূপদান।
(দ) সমিতি’র সদস্যদের হিতার্থে সরকার গঠিত বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারি কল্যাণ সমিতি’র সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করবে এবং সমিতি’র সদস্যদের কল্যাণে সমিতি’র অধীনে একটি নিজস্ব কল্যাণ তহবিল থাকবে।
(ধ) সমিতি’র সদস্যদের কারিগরী জ্ঞান বর্ধিত করার নিমিত্তে একটি গ্রন্থাগার এবং একটি মুখপত্র প্রকাশ করা।
(ন) সমিতি’র কল্যাণার্থে প্রয়োজনে বিবেচিত অন্যান্য পন্থা যা উপরে উল্লেখিত হয়নি, তা গ্রহণ করা।
(প) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা।
৪। কার্যবর্ষ ও অর্থবর্ষঃ
কার্যবর্ষ ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র এবং অর্থ বর্ষ ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর।
৫। সদস্য/নির্বাহী সদস্য ও পৃষ্ঠপোষকঃ
(ক) পিডব্লিউডি’তে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা তদুর্ধ্ব পদে কর্মরত সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এই সমিতি’র সদস্য।
(খ) যে কোন সদস্যই কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটির কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্য হওয়ার যোগ্য। তবে একই ব্যক্তি পর পর ২ (দুই) টার্ম কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর তৃতীয় টার্মে ওই একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
(গ) চাকরি হতে অবসর গ্রহণকারী কিংবা চাকরি ত্যাগকারী গণপূর্ত অধিদপ্তরের যে কোন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এই সমিতি’র আজীবন পৃষ্ঠপোষক থাকতে পারবেন। তিনি একমাত্র ভোটাধিকার ব্যতিত সমিতি’র অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
(ঘ) বাংলাদেশের যে কোন সম্মানিত নাগরিককে কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদনক্রমে সমিতি’র সম্মানী সদস্য এবং অনুদান প্রদানকারী সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না। যারা অনুদান প্রদানকারী সদস্য হবেন, তাদেরকে এককালীন ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সমিতি’র তহবিলে প্রদান করতে হবে।
(ঙ) সংগঠনের স্বার্থে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও বিশেষ অবদানের জন্য যে কোন সদস্য/পৃষ্ঠপোষক/ সম্মানী সদস্য/ অনুদান প্রদানকারী সদস্যকে কেন্দ্রীয় পরিষদের সুপারিশে কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আজীবন সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। তবে তার কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
৬। পরিষদ/কমিটি গঠন ও উহার উপ-বিধিঃ
কেন্দ্রীয় পরিষদ ও জেলা কমিটি’র মাধ্যমে স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি’র যাবতীয় কর্মতৎপরতা পরিচালিত হবে।
(ক) কেন্দ্রীয় পরিষদঃ
সমগ্র বাংলাদেশের বাপিডিপ্রকৌস-এর সদস্যদের গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ। উক্ত পরিষদ নি¤œবর্ণিত কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে ঃ
০১। সভাপতিঃ ১(এক) জন
০২। সিনিয়র সহ-সভাপতিঃ ১(এক) জন
০৩। সহ-সভাপতি (ঢাকা)ঃ ১(এক) জন
০৪। সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম)ঃ ১(এক) জন
০৫। সহ-সভাপতি (খুলনা)ঃ ১(এক) জন
০৬। সহ-সভাপতি (রাজশাহী)ঃ ১(এক) জন
০৭। সহ-সভাপতি (বরিশাল)ঃ ১(এক) জন
০৮। সহ-সভাপতি (সিলেট)ঃ ১(এক) জন
০৯। সহ-সভাপতি (রংপুর)ঃ ১(এক) জন
১০। সহ-সভাপতি (ময়মনসিংহ)ঃ ১(এক) জন
১১। সাধারণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১২। যুগ্ম সম্পাদক-১ঃ ১(এক) জন
১৩। যুগ্ম সম্পাদক-২ঃ ১(এক) জন
১৪। অর্থ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১৫। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১৬। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১৭। দপ্তর সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১৮। সহ-দপ্তর সম্পাদকঃ ১(এক) জন
১৯। প্রচার সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২০। সহ-প্রচার সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২১। সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২২। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২৩। সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২৪। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২৬। আইন ও চাকুরী বিষয়ক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
২৭। নির্বাহী সদস্য-১ঃ ১(এক) জন
২৮। নির্বাহী সদস্য-২ঃ ১(এক) জন
২৯। নির্বাহী সদস্য-৩ঃ ১(এক) জন
৩০। নির্বাহী সদস্য-৪ঃ ১(এক) জন
৩১। নির্বাহী সদস্য-৫ঃ ১(এক) জন
৩২। নির্বাহী সদস্য-৬ঃ ১(এক) জন
৩৩। নির্বাহী সদস্য-৭ঃ ১(এক) জন
৩৪। নির্বাহী সদস্য-৮ (ঐচ্ছিক)ঃ ১(এক) জন
নোটঃ সহ-সভাপতির পদ সৃষ্টির কারণে কেন্দ্রীয় পরিষদের কর্মকর্তার সংখ্যা জোড় হলে তা বেজোড় সংখ্যা করার উদ্দেশ্যে নির্বাহী সদস্য-৮ পদটি সাময়িকভাবে (ঐচ্ছিক) সৃষ্টি হবে এবং তা সকল সময় নির্বাচন ব্যতিত ঢাকা জেলার কাউন্সিলর হতে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কো-অপট হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদের মোট পদ জোড়সংখ্যায় হলে উক্ত পদ (নির্বাহী সদস্য-৮) বহাল থাকবে এবং বেজোড় সংখ্যায় হলে তা (নির্বাহী সদস্য-৮) আপনা আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের ৯(ক)৫ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হবেনা।
(খ) পরিষদের সকল কার্মকর্তারই কর্মস্থল ঢাকা হতে হবে। ব্যাতিক্রম শুধু সহ-সভাপতি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ .....। প্রতি প্রশাসনিক বিভাগ হতে একজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন। যেহেতু ঢাকা জেলার জন্য কোন স্বতন্ত্র জেলা কমিটি থাকবে না, সেহেতু কেন্দ্রীয় পরিষদের ৭(সাত) /৮(আট) জন নির্বাহী সদস্য থাকবেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য নামে পরিচিত হবেন এবং তাঁরা কেন্দ্রীয় পরিষদের আদেশ/নির্দেশ/অনুরোধে কাজ করবেন। তাঁদের কর্মস্থল অবশ্যই ঢাকা জেলার আওতায় হতে হবে।
নোট ঃ গঠনতন্ত্র সংশোধনের পর হতে পরবর্তী নির্বাচন এর পূর্বে নতুন কোন প্রশাসনিক বিভাগ গঠন হলে নির্বাচনের পূর্বে ঐ সকল প্রশাসনিক বিভাগে সহ-সভাপতির পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্টি হবে এবং তা ঐ বিভাগের সদস্য প্রকৌশলীর মধ্য থেকে কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক কো-অপট এর মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। এক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের ৯(ক) ৫ অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হবে না। পরবর্তী টার্মে উক্ত পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
(গ) জেলা কমিটিঃ
প্রত্যেক জেলার সাধারণ সদস্যদের দ্বারা গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জেলা প্রতিনিধিবৃন্দ। নি¤œলিখিত কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে জেলা কমিটি গঠিত হবে ঃ
১। সভাপতিঃ ১(এক) জন
২। সহ-সভাপতিঃ ১(এক) জন
৩। সাধারণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৪। যুগ্ম-সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৫। অর্থ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৬। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৭। দপ্তর/প্রচার/সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
ঘ) ১। যে সকল জেলায় এক বা একাধিক গণপূর্ত বিভাগ/সার্কেল আছে, সেখানে একটিমাত্র জেলা কমিটি থাকবে। যে সকল জেলায় গণপূর্ত বিভাগীয় দপ্তর নেই সে সকল জেলার সদস্যগণ নিজ নিজ গণপূর্ত বিভাগীয় দপ্তরের জেলা কমিটি’র আওতাধীন থাকবেন।
২। যে সকল জেলায় গণপূর্ত জোন কার্যালয় আছে, সেখানে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠিত হবে।
১। সভাপতিঃ ১(এক) জন
২। সহ-সভাপতিঃ ১(এক) জন
৩। সাধারণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৪। যুগ্ম-সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৫। অর্থ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৬। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৭। দপ্তর সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৮। প্রচার সম্পাদকঃ ১(এক) জন
৯। সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ ১(এক) জন
ঙ) পরিষদ/কমিটি সমূহের আওতাঃ
১। কেন্দ্রীয় পরিষদঃ পিডব্লিউডি’তে কর্মরত সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কেন্দ্রীয় পরিষদের আওতাভূক্ত হবেন।
২। জেলা কমিটিঃ বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় পিডব্লিউডি’তে কর্মরত প্রত্যেক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী স্ব-স্ব জেলা কমিটি’র আওতাভূক্ত থাকবেন।
৩। যেহেতু ঢাকা জেলার জন্য কোন স্বতন্ত্র জেলা কমিটি নেই, সেহেতু ঢাকা জেলার আওতাভূক্ত পিডব্লিউডি’র সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সরাসরি কেন্দ্রীয় পরিষদের আওতাভূক্ত থাকবেন।
৭। বাপিডিপ্রকৌস-এর নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতিঃ
(ক) পিডব্লিউডি’তে কর্মরত সকল ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বাপিডিপ্রকৌস-এর সদস্য।
(খ) কোন সদস্য চাকরি হতে অবসর গ্রহণ কিংবা পদত্যাগ কিংবা পদচ্যুত হলে তিনি তার সদস্য পদ হারাবেন। কিন্তু তা চূড়ান্তভাবে সমিতি’র অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
(গ) কোন সদস্য সমিতি এবং সমিতি’র সদস্যের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কজে করতে পারবেন না।
(ঘ) সমিতির’র পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার কৈফিয়ত তলব এবং সমিতি হতে সাময়িক বহিস্কার/বহিস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তবে বহিস্কারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
(ঙ) কোন সদস্য এক জেলা হতে অন্য জেলায় বদলি হলে বদলিকৃত জেলায় সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু তাকে প্রথম জেলা কমিটি হতে দায়মুক্ত সার্টিফিকেট পেশ করতে হবে।
(চ) এই সমিতি’র কোন সদস্যই পিডব্লিউডি’তে কর্মরত প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত অন্যকোন সমিতি’র সদস্য/নির্বাহী সদস্য/কর্মকর্তা হতে পারবেন না।
৮। গঠনতন্ত্রঃ
(ক) কেন্দ্রীয় পরিষদের উপর সমিতি পরিচালনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ন্যাস্ত থাকবে।
(খ) কেন্দ্রীয় পরিষদই সমিতি’র যাবতীয় কার্য সম্পাদন করবেন।
(গ) কেন্দ্রীয় পরিষদের পরামর্শক্রমে জেলা কমিটি তার এখতিয়ারভ‚ক্ত কার্যাদি সম্পাদন করবেন।
(ঘ) কেন্দ্রীয় পরিষদে মোট ৩৩(তেত্রিশ)* জন সদস্য/কর্মকর্তা থাকবেন (বেজোড় সংখ্যায় হবে)।
*নোটঃ গঠনতন্ত্র সংশোধনের পর কোন প্রশাসনিক বিভাগ গঠন হলে ঐ সকল প্রশাসনিক বিভাগে সহ-সভাপতি পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদক্রমানুসারে সৃস্টি হবে এবং কেন্দ্রীয় পরিয়দের কর্মকর্তার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাহী সদস্য-৮ সংযোজন অথবা বিয়োজনের মাধ্যমে বেজোড় সংখ্যায় রাখতে হবে।
(ঙ) জেলা কমিটিতে ৭ (সাত) জন সদস্য/কর্মকর্তা থাকবেন। তবে যে সকল জেলায় গণপূর্ত জোন কার্যালয় আছে সেখানে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠিত হবে। যে সকল জেলায় ২০ জনের বেশী সদস্য সে সকল জেলায় প্রথম ২০ জনের পরে অবশিষ্ট প্রতি ২০ জনের জন্য ১ জন নির্বাহী সদস্য জেলা কমিটিতে থাকবেন।
(চ) কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি সদস্যদের গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
(ছ) সদস্যদের কেন্দ্রীয় পরিষদ অথবা জেলা কমিটি’র কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে কোন বাধা থাকবে না।
(জ) প্রত্যেক জেলায় কর্মরত সদস্যদের মধ্য হতে প্রতি বিশ জনে/অংশ বিশেষের জন্য একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন এবং প্রত্যেক জেলা কমিটি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে কাউন্সিলর হবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সকল সদস্য পদাধিকার বলে কাউন্সিলর হবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
(ঝ) সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে সমিতি’র কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি’র সদস্যের মর্যাদা উপভোগ করবেন।
৯। কেন্দ্রীয় পরিষদ, জেলা কমিটি ও কাউন্সিল অধিবেশনের ক্ষমতা দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) কেন্দ্রীয় পরিষদঃ
১। সমিতি’র সকল কার্যাবলী তদারক, নির্বাহ, পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণ করা।
২। জেলা কমিটি’র সাধারণ সভায় গৃহীত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনা করা।
৩। কেন্দ্রীয় পরিষদ সমিতি’র যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষমতা রাখে। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক বাজেট, নীতি নির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়ন কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
৪। প্রয়োজনে উপ-পরিষদ গঠন করা।
৫। কোন কারণে কেন্দ্রীয় পরিষদের কোন পদ শূন্য থাকলে/হলে পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য/কাউন্সিলর/সদস্য দ্বারা উক্ত পদ কো-অপট এর মাধ্যমে পূরণযোগ্য, তবে কো-অপট সদস্যের সংখ্যা এককালীন ৩ এর অধিক হতে পারবে না।
৬। সমিতি’র সকল কার্যাবলী বাস্তাবায়ন করার দায়িত্ব পরিষদ/কমিটি’র উপর ন্যস্ত।
৭। জেলা কমিটি’র কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করা।
৮। কেন্দ্রীয় পরিষদ যে কোন অংকের খরচের অনুমোদন দিতে পারবে।
৯। সমিতি’র যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিষদ কর্তৃক নিয়োজিত অডিট কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা করাতে হবে।
(খ) জেলা কমিটিঃ
১। স্থানীয় সকল কার্যাবলী তদারক, নির্বাহ, পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করা।
২। কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক দেয় কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করা।
৩। কোন কারণে জেলা কমিটি’র কোন পদ শূন্য থাকলে/হলে জেলা কমিটি’র অধিকাংশ সদস্যের সম্মতিক্রমে জেলা কমিটি’র সদস্য/কাউন্সিলর/ সদস্য দ্বারা উক্ত পদ কো-অপট এর মাধ্যমে পূরণযোগ্য। তবে কো-অপট সদস্যের সংখ্যা এককালীন ৩ এর অধিক হতে পারবে না।
৪। জেলা কমিটি’র কোন মতামত, আদর্শ, নীতি বাস্তাবায়নের জন্য সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কিংবা লিখিত অনুরোধ/দাবি জানাতে পারবেন না, শুধুমাত্র স্থানীয় সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে পারবেন।
৫। জেলা কমিটি’র কোন জাতীয় ভিত্তিক দাবি, মতাদর্শ কিংবা সার্বিক চিন্তাধারার প্রতিফলন অবশ্যই কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে প্রতিফলিত হতে হবে।
৬। জেলা কমিটি’র যাবতীয় আয়-ব্যয়ের বাজেট অবশ্যই কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
৭। কেন্দ্রীয় পরিষদের সিদ্ধান্তবলী/নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়ন করা।
গ) কাউন্সিল অধিবেশনঃ
১। কাউন্সিল অধিবেশন সমিতি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ- এর সভা।
২। বছরে নূন্যতম একবার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ প্রয়োজনে একাধিকবার কাউন্সিল অধিবেশন ডাকা যেতে পারে।
৩। কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলরগণ কেন্দ্রীয় পরিষদের আর্থিক বাজেট অনুমোদন, নীতি নির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন এবং কেন্দ্রীয় পরিষদের যাবতীয় কার্যাবলীর উপর গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারবেন, যা পরবর্তী কার্যক্রমের রূপরেখা হিসেবে কাজ করবে।
৪। কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে যে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ঘ) উপদেষ্টা পরিষদঃ
প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় পরিষদকে পরামর্শ প্রদানের জন্য অনধিক ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদ-এর সদস্যবৃন্দ গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত সদস্য প্রকৌশলী হতে কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক মনোনীত হবেন। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের ভোটাধিকার থাকবে না। উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকাল হবে কেন্দ্রীয় পরিষদের ন্যায় ৩(তিন) বছর বা ১ (এক) টার্ম।
১০। কর্মকর্তাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং কর্তব্য পালনঃ
ক) সভাপতিঃ
১। সভাপতি সমিতি’র সভার পৌরহিত্য করবেন।
২। সভাপতি সমিতি’র গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দাতা হিসেবে কাজ করবেন।
৩। সভাপতি সভা চলাকালিন সভার সার্বিক নিয়ন্ত্রন করবেন।
৪। তিনি যে সভায় উপস্থিত থাকেন সেই সভায় পাসকৃত প্রস্তাবাবলী পাসের নিমিত্তে খসড়া কপিতে তাঁর স্বাক্ষর অনিবার্য।
৫। পাসকৃত প্রস্তাবসমূহের যে অংশ তাঁর অপছন্দ সেই অংশ পরিবর্তনের জন্য তিনি তা পুনরায় পরিষদ/কমিটিতে প্রেরণ করতে পারেন, কিন্তু পরিষদ/কমিটি তা পুনঃবিবেচনা পূর্বক অপরিবর্তিত রাখলে, তিনি তাই অনুমোদন করতে বাধ্য থাকবেন।
৬। প্রয়োজনে তিনি তাঁর ঐচ্ছিক ভোট প্রদান করবেন।
৭। কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদিত বাজেট সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে।
৮। সভাপতির অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন কর্মকর্তা সাংগঠনিক সফর এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করতে পারবেন না।
৯। সভাপতির অনুমোদন ব্যতিত কোন বিশেষ চাঁদা সংগ্রহ করা যাবে না।
১০। সভাপতি কর্তৃক সংবিধান মোতাবেক দেয় যে কোন আদেশ, উপদেশ এবং অনুরোধ সমিতি’র যে কোন কর্মকর্তা এবং যে কোন সদস্য নীতিগতভাবে মানতে বাধ্য থাকবেন।
১১। কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি এককালীন দশ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং জেলা কমিটি’র সভাপতি এককালীন দুই হাজার টাকা পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দিতে পারবেন। তদুর্ধ্ব অংক কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পর সভাপতি ভাউচারে স্বাক্ষর করবেন।
১২। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে সমিতি’র নামে অনুমোদিত ব্যাংকে অর্থ জমা রাখবেন।
খ) সিনিয়র সহ-সভাপতি/সহ-সভাপতিঃ
১। সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতিগণ সভাপতি’র কার্যবিধি পরিচালনা এবং তত্ত¡াবধানে সহায়তা করবেন।
২। সভাপতি’র অনুপস্থিতিতে এবং শূন্যতায় সভাপতি’র যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী হবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি।
৩। সভাপতি’র অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি সভার পৌরহিত্য করবেন।
৪। সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি’র অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভার পৌরহিত্য করবেন।
৫। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ সকল সহ-সভাপতি’র অনুপস্থিতিতে সভার কাজ চালানোর জন্য বয়োজ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য পৌরহিত্য করবেন।
গ) সহ-সভাপতি- ঢাকা/চট্টগ্রাম/রাজশাহী/খুলনা/বরিশাল/সিলেট/রংপুর/ময়মনসিংহঃ
১। কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা স্ব-স্ব বিভাগে সমিতি’র প্রতিনিধিত্ব করবেন।
২। কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমতিক্রমে স্ব-স্ব বিভাগীয় এলাকায় সাংগঠনিক সফর করবেন।
৩। কেন্দ্রীয় পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবাবলী/নির্দেশাবলী তদারক, নির্বাহ, পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করবেন।
৪। বিভাগীয় যে কোন সমস্যা সহ-সভাপতি সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটি’র সমন্বয়ে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
ঘ) সাধারণ সম্পাদকঃ
১। সমিতি’র সমস্ত কার্য-পরিচালনার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
২। পরিষদ/কমিটি এবং সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের।
৩। প্রয়োজনে তিনি পরিষদ/কমিটি’র সভা এবং সাধারণ সভা আহবান করবেন।
৪। পরিষদ/কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে (পূর্বে অথবা পরে) তিনি সমিতি’র লক্ষ্য ও স্বার্থ অর্জনের জন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৫। পরিষদ/কমিটি অথবা সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের প্রতি তিনি অবিচল থাকবেন।
৬। সদস্যদের হিতার্থে তিনি যে কোন সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সম্পাদক ওই কার্যক্রম নির্বাহ করতে বাধ্য থাকবেন।
৭। সমিতি’র কর্মকর্তাসহ পরিষদ/কমিটির পরামর্শক্রমে তিনি সমিতি’র সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি মিমাংসা করার জন্য সরকার কিংবা অন্যকোন সংস্থার সাথে আলোচনায় উদ্যোগী হতে পারবেন।
৮। তিনি সাধারণ সভায় বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।
৯। কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এককালীন ২,০০০/=(দুই হাজার) টাকা পর্যন্ত এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এককালীন ১,০০০/= (এক হাজার) টাকা পর্যন্ত খরচের অনুুমোদন দিতে পারবেন।
১০। সাধারণ সম্পাদকের লিখিত অনুমতির পরই অর্থ সম্পাদক অর্থ গ্রহণকারীকে অর্থ প্রদান করবেন।
১১। সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি এবং অর্থ সম্পাদক তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে সমিতি’র নামে অনুমোদিত ব্যাংকে টাকা জমা রাখবেন।
১২। সমিতি বিরোধী কার্যকলাপ এবং বক্তব্যের জন্য সমিতি’র অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি যে কোন কর্মকর্তা অথবা সদস্যের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঙ) যুগ্ম সম্পাদকঃ
১। যুগ্ম সম্পাদকগণ সর্বদা সাধারণ সম্পাদককে তার কর্তব্য পালনে সাহায্য ও সহযোগিতা করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদকের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করবেন যুগ্ম সম্পাদক।
চ) অর্থ সম্পাদকঃ
১। অর্থ সম্পাদক সমিতি কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় চাঁদা, দান/অনুদান, সাহায্য-এর হিসাব রাখবেন।
২। তিনি সমিতি’র তহবিল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩। তিনি নিজে তহবিল সংগ্রহ করবেন এবং প্রয়োজনে উপ-পরিষদ গঠনের অনুরোধ করতে পারবেন।
৪। সমিতি’র আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব সংগ্রহ করবেন এবং ক্যাশ অর্থ অনুমোদিত ব্যাংকে তিনি, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে রক্ষা করবেন।
৫। তিনি অডিট কমিটিকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবেন।
৬। অর্থ সম্পাদক সমিতি’র রসিদ বই সমূহের তত্ত¡াবধান করবেন।
৭। তিনিই বাজেট পেশ করবেন।
৮। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক-এর লিখিত অনুমতির পর অর্থ সম্পাদক অর্থ গ্রহণকারীকে অর্থ প্রদান করবেন।
ছ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
১। সাংগঠনিক সম্পাদক সাধারণ সদস্যদের এবং জেলা কমিটির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সমিতিকে সংগঠিত করবেন।
২। সমিতি’র প্রাণ সঞ্চারের এবং কর্মতৎপরতায় তাঁকে কার্যকরি ভূমিকা সকল সময়েই গ্রহণ করতে হবে।
৩। সমিতি এবং সদস্যদের সংগঠিত করার সকল দায়িত্ব তাঁর।
জ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকঃ
১। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদককে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করবেন।
ঝ) দপ্তর সম্পাদকঃ
১। দপ্তর সম্পাদক সভার কার্যাবলী লিপিবদ্ধ করবেন।
২। তিনি সমিতি’র যাবতীয় নথি-পত্র সংরক্ষণ করবেন।
৩। দপ্তর সংক্রান্ত কার্যাদি পরিচালনার ভার তার ওপর ন্যস্ত।
৪। দপ্তর সম্পাদক সমিতি’র যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তদারক ও সংরক্ষণ করবেন।
৫। সমিতির কর্মচারি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তাঁর।
ঞ) সহ-দপ্তর সম্পাদকঃ
১। সহ-দপ্তর সম্পাদক দপ্তর সম্পাদককে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন।
ট) প্রচার সম্পাদকঃ
১। সমিতি’র যাবতীয় কার্যক্রম বাপিডিপ্রকৌস-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জনসাধারণ/সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জ্ঞাত করাবার দায়িত্ব তাঁর।
২। তিনি পরিষদের সভাসমূহের বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ কর্মকর্তাদের জ্ঞাত করার জন্য কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩। প্রচার সম্পাদক সমিতি’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের ইস্তেহার, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি সংবাদ পত্রে প্রচার, প্রচার-পত্র, পুস্তিকা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টারের মাধ্যমে সমিতি’র অনুমোদন সাপেক্ষে তুলে ধরবেন।
ঠ) সহ-প্রচার সম্পাদকঃ
১। সহ-প্রচার সম্পাদক প্রচার সম্পাদককে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করবেন।
ড) সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ
১। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সদস্যদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কার্যনির্বাহ করবেন।
২। জনহিতকর কার্যক্রম গ্রহণেও তিনি সচেষ্ট হবেন।
৩। তিনি সদস্যদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে সমবায় আন্দোলন ও কুটির শিল্পসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৪। তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করবেন।
৫। কোন সদস্যের মরণোত্তর তাঁর পরিবারকে পেনশন/বীমা/কল্যাণ তহবিল ইত্যাদি প্রাপ্তিতে তিনি সহযোগিতা প্রদান করবেন।
ঢ) ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদকঃ
১। সমিতিকে আকর্ষণীয় করার ও সদস্যদের চিত্তবিনোদনের নিমিত্তে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২। তিনি সমিতি’র সদস্যদের জন্য আভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিভাগীয় খেলাধুলার ব্যবস্থা করবেন।
৩। তিনি সমিতি’র সদস্য/সদস্যদের সন্তানদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
৪। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সমিতির সদস্যদেরকে অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৫। বার্ষিক বনভোজনে সদস্য ও সদস্যদের পরিবারের জন্য খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্ট এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
৬। চফি ঝঢ়ড়ৎঃং ক্লাবের সকল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং প্রয়োজনে উপ-পরিষদ গঠনে সুপারিশ করতে পারবেন।
ণ) সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
১। তিনি সমিতি’র সাহিত্য পত্রিকাসহ যাবতীয় সাময়িকী সম্পাদনা করবেন। প্রয়োজনে উপ-পরিষদ গঠনের সুপারিশ করতে পারবেন।
২। তিনি পাঠাগার স্থাপন এবং সংরক্ষণ করবেন।
৩। তিনি জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য সকল অনুষ্ঠান সংক্রান্ত যাবতীয় প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে উপ-কমিটি গঠনের সুপারিশ করতে পারবেন।
ত) বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিযয়ক সম্পাদকঃ
১। সদস্য প্রকৌশলীদের যুগোপযোগী বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য কাজ করবেন।
২। সমিতিকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিবেন।
৩। সদস্যদের ই-মেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি মাধ্যমে সংযুক্ত করে সদস্যদের তথ্য উপাত্ত ডাটাবেজে সংরক্ষণ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা নিবেন।
৪। সমিতির ওয়েবসাইট হাল-নাগাদকরণ এবং প্রচার সম্পাদকের সাথে সমন্বয়পূর্বক সদস্যদের মুঠোফোনবার্তা প্রেরণের উদ্যোগ নেবেন।
থ) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিযয়ক সম্পাদকঃ
১। সদস্য প্রকৌশলীদের যুগোপযোগী প্রকৌশলগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করবেন।
২। সমিতিকে আধুনিক নির্মান প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
৩। সদস্য প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক, আইডিইবি ও সমিতির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগপূর্বক প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রণীত সকল প্রকার প্রকাশনা সংগ্রহ করেবেন।
দ) আইন ও চাকুরী বিযয়ক সম্পাদকঃ
১। তিনি সদস্য প্রকৌশলীদের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিযয়ে আইনী সহায়তা প্রদান করবেন।
২। তিনি সমিতির সদস্যদের নিয়োগ, পদোন্নতি, গ্রেডেশন ও বিভাগীয় মামলার বিযয়ে সদস্য প্রকৌশলীদের সহায়তা প্রদান করবেন।
৩। তিনি সদস্যদের চাকুরী বিযয়ে যে কোন সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় পরিষদের পরামর্শ ও সহায়তায় গণপূর্ত অধিদপ্তর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সমস্যার সমাধান করবেন।
৪। সদস্য প্রকৌশলীদের চাকুরী সংক্রান্ত বিযয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনে উপ-কমিটি গঠনের সুপারিশ করতে পারবেন।
ধ) নির্বাহী সদস্যঃ
১। সকল সদস্যই (পরিষদ/কমিটি সদস্য) পরিষদের কর্মকর্তাদের সাথে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সমঝোতা বজায় রেখে কাজ করবেন।
২। পরিষদ কর্তৃক দেয় কোন বিশেষ দায়িত্ব পালনে তিনি বাধ্য।
৩। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতি’র অনুপস্থিতিতে প্রবীণ নির্বাহী সদস্য সভায় পৌরহিত্য করবেন।
১১। সভাঃ
১। সমিতি’র জেলা কমিটি’র সাধারণ সভা বছরে একবার অবশ্যই হতে হবে। ঢাকার ক্ষেত্রে সাধারণ সভা কেন্দ্রীয় পরিষদের আহবানে ঢাকাস্থ সদস্যদের উপস্থিতিতে হতে হবে। প্রয়োজনবোধে বছরে একাধিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। একমাসের নোটিশে সাধারণ সভা আহবান করতে হবে।
২। পরিষদ/কমিটি’র সভা ন্যূনতম ৩ (তিন) দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত করা যাবে।
৩। পরিষদ/কমিটি’র অনুমোদনক্রমে স্বল্প সময়ের মধ্যেও জরুরী সভার/সাধারণ সভার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৪। সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের লিখিত আহবানে সাধারণ সম্পাদক তলবী সভা আহবান করতে বাধ্য থাকবেন। “তলবী সভা” ডাকার লিখিত আবেদন পাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক তলবী সভা আহবানে সাড়া না দিলে আহবানকারী দাবিদারগণ নিজেরাই সভা ডাকতে এবং পরিচালনা করতে পারবেন। সভায় গৃহীত প্রস্তাবই আইনতঃ কার্যকরী বলে গন্য হবে।
১২। কোরামঃ
১। কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি’র কোরাম পূর্ণ হবে তখনই যখনঃ
ক) নূন্যতম এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্য সভায় উপস্থিত হন।
খ) জরুরী কিংবা অস্বাভাবিক অবস্থায় এক পঞ্চমাংশ কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্য উপস্থিত হন।
গ) তলবী সভায় সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ উপস্থিত থাকেন।
ঘ) নির্বাচনে নূন্যতম সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ বৈধ ভোটারের অংশ গ্রহণ প্রয়োজন।
২। সাধারণ সভার কোরাম পূর্ণ হবে নূন্যতম এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে। গঠনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আহুত সাধারণ সভায় কোরাম পূর্ণ না হলে উপস্থিত সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে সেই সভাতেই পরবর্তী সভার দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। পরবর্তী সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কোরাম পূর্ণ করবে।
৩। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে কাউন্সিল সভার কোরাম পূর্ণ হবে।
৪। জরুরী সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কোরাম পূর্ণ করবেন।
১৩। অনাস্থাঃ
১। পরিষদ/কমিটি’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।
২। অনাস্থা গৃহীত হলে এক মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রদান করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময় পূর্বতন পরিষদ/কমিটি কার্য পরিচালনা করবেন।
৩। জেলা কমিটি’র উপর আনীত অনাস্থা কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
১৪। নির্বাচনঃ
ক) কেন্দ্রীয় পরিষদঃ
১। কেন্দ্রীয় পরিষদ সমগ্র বাংলাদেশের পিডব্লিউডি’তে কর্মরত বাপিডিপ্রকৌসের সদস্যদের সরাসরি গোপন ভোটে নির্বাচিত হবে।
২। নির্বাচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বৈধ ভোটারের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।
৩। কেন্দ্রীয় পরিষদ নির্বাচনে একজন সদস্য শুধুমাত্র একটি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারবেন।
৪। কেন্দ্রীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর আইডিইবি ভবন তহবিল অনুদান পরিশোধিত থাকতে হবে।
খ) জেলা কমিটিঃ
১। জেলা কমিটি, ঐ জেলায় পিডব্লিউডি’তে কর্মরত বাপিডিপ্রকৌসের সদস্যদের গোপন ভোটে নির্বাচিত হবে।
২। জেলা কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বৈধ ভোটারের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।
৩। জেলা কমিটি’র নির্বাচনে একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারবেন।
৪। ঢাকা ও অন্যান্য জেলার কাউন্সিলরগণ স্ব-স্ব এলাকার সদস্য দ্বারা গোপন ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি’র নির্বাচনের সাথে নির্বাচিত হবেন।
গ) নির্বাচন কমিশন ও তার দায়িত্বঃ
১। নির্বাচনের অন্ততঃ ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) দিন পূর্বে সমিতি’র পৃষ্ঠপোষক হতে কেন্দ্রীয় পরষিদ/জেলা কমিটি কর্তৃক একজন নির্বাচন কমিশনার মনোনীত হবেন। তিনি নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। নির্বাচন কমিশনার তার সাহায্যার্থে পৃষ্ঠপোষক/সদস্যদের মধ্য হতে অনধিক দু’জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করতে পারবেন।
২। নির্বাচনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় মনোনয়ন পত্র দাখিল না হলে, নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্রীয় পরিষদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
৩। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক ভোট কেন্দ্র স্থাপন করতে পারবেন।
ঘ) দায়িত্ব হস্তান্তর ঃ
১। নব-নির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিকট কর্মরত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ১৫ (পনের) দিনের মধ্যেই হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকবেন।
ঙ) নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা ঃ
১। কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি’র নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলেঃ
ক) প্রার্থীকে অবশ্যই বাপিডিপ্রকৌস-এর সদস্য হতে হবে।
খ) কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি/কাউন্সিলর নির্বাচনে বিগত তিন বছরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধিত থাকতে হবে।
গ) কেন্দ্রীয় পরিষদ নির্বাচনের কমপক্ষে ৩ (তিন) বছর পূর্বে সমিতি’র সদস্য না হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
ঘ) জেলা কমিটি’র জন্য নব-নিয়োগ প্রাপ্ত সদস্যদের (যাদের চাকরির মেয়াদ ৩ (তিন) বছর পূর্তি হয়নি) নিয়োগের বছর হতে বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধিত থাকতে হবে।
চ) নির্বাচনে ভোটারের যোগ্যতা ঃ
১। নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে হলে বিগত ৩ (তিন) বছরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধিত থাকতে হবে।
২। বিগত ৩ (তিন) বছরের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধিত না থাকলে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।
৩। নব-নিয়োগ প্রাপ্ত সদস্যের নিয়োগ ৩ (তিন) বছরের কম হলে নিয়োগের বছর হতে বার্ষিক চাঁদা পরিশোধিত থাকতে হবে।
১৫। পদত্যাগ ঃ
ক) যে কোন কর্মকর্তা ও নির্বাহী সদস্য সমিতি হতে পদত্যাগ করতে পারবেন তবে তার নিমিত্তে সাধারণ সম্পাদক-এর নিকট লিখিতভাবে জানাতে হবে।
খ) সাধারণ সম্পাদক সভাপতি’র নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিল করতে পারবেন।
গ) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে তার দেয় চাঁদা অনুদান এর ওপর তার কোন দাবি থাকবে না।
ঘ) পদত্যাগপত্র চূড়ান্তভাবে পরিষদ/কমিটি কর্তৃক গৃহীত হতে হবে, যেহেতু পরিষদ/কমিটিই তা গ্রহণ করার চূড়ান্ত অধিকারী।
ঙ) সমিতি’র নিকট বকেয়া সকল চাঁদা এবং দায় পরিশোধের পরই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে।
১৬। তহবিল ঃ
ক) সমিতি’র তহবিল ঃ সমিতি’র সদস্য, পৃষ্ঠপোষক, দাতা ও হিতৈষী ব্যক্তিদের নিকট হতে চাঁদা, দান/অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হবে।
খ) সমিতি’র প্রত্যেক সদস্যকে বার্ষিক চাঁদা ৬০০/= (ছয়শত) টাকা এককালীন প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় পরিষদ/জেলা কমিটি’র অনুমোদনক্রমে অনুদান প্রদান করতে প্রত্যেক সদস্যই দ্বিধার ঊর্ধ্বে থাকবেন। জেলা কমিটি কর্তৃক ধার্যকৃত অনুদান কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত অনুদানের অতিরিক্ত। জেলা কমিটি কর্তৃক ধার্যকৃত অতিরিক্ত অনুদানের হিসাব স্ব-স্ব জেলা কমিটি সংরক্ষণ করবেন।
গ) ঢাকা জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলার কর্মরত সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা ৬০০/= (ছয়শত) টাকার মধ্যে ২০০/= (দুইশত) টাকা জেলা কমিটি’র জন্য বরাদ্দ থাকবে।
ঘ) ঢাকা জেলার সদস্যদের নিকট হতে সংগৃহীত বার্ষিক চাঁদার সম্পূর্ণ অংশই কেন্দ্রীয় পরিষদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
ঙ) সমিতি’র সকল চাঁদাই কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্ধারিত রসিদ বহি’র মাধ্যমে সংগৃহীত হতে হবে।
চ) বাপিডিপ্রকৌস সরকার কিংবা সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সরকারী কল্যাণ সমিতি বা অন্য কোন হিতকর সংস্থা কিংবা সমিতি’র সদস্য নন এমন দানশীল ব্যক্তি হতে সাহায্য গ্রহণ করতে পারবে।
ছ) সাধারণ সম্পাদক/অর্থ সম্পাদক কিংবা প্রতিনিধি অথবা মনোনীত সদস্যগণ দ্বারা নির্ধারিত রসিদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন।
জ) সমিতি’র জন্য সংগৃহীত তহবিল পরিষদ/কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংকে জমা রাখা হবে।
ঝ) তহবিল গঠন, রক্ষণ ও উহার সুচারু হিসাব রক্ষণের জন্য সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক যুক্তভাবে দায়ী থাকবেন।
ঞ) ব্যাংকে গচ্ছিত তহবিল সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এই তিনজনের যে কোন দু’জনের স্বাক্ষরে উত্তোলন করা যাবে।
ট) সমিতি’র যাবতীয় আয়-ব্যয় এর হিসাব পরিষদ/কমিটি কর্তৃক নিয়োজিত অডিট কমিটি দ্বারা নিরীক্ষা করাতে হবে।
১৭। সমিতি’র বিধিসমূহ,আইন-কানুন,পদ্ধতি,সংশোধন ও পরিবর্তন ঃ
গঠনতন্ত্রের কোন ধারা সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন অথবা বাতিল করতে হলে এ মর্মে একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় পরিষদের অনুমোদনের পর কাউন্সিলে উপস্থাপন করতে হবে এবং যদি কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়, তা হলে উহা কার্যকর হবে।
১৮। সমিতি’র ভাংগন ঃ
ক) সমিতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা যাবে না, যতক্ষণ না শতকরা ৯০ (নব্বই) জন (৯০%) সাধারণ সদস্যের অনুমোদন থাকে।
খ) যদি সমিতি’র বিলুপ্তি ঘটে তা হলে সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হওয়ার পর যদি তহবিলে নগদ অর্থ বা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকে তা কোনক্রমেই ওই সমিতি’র সদস্যগণের মধ্যে বিতরণ করা যাবে না। উক্ত সম্পত্তি বিলুপ্ত সমিতি’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই ধরনের এমন সব সমিতি বা সংস্থার নিকট দান করা হবে। অবশ্য উহাতে সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যের অনুমোদন থাকতে হবে।
(মির্জা এ.টি.এম গোলাম মোস্তফা) সভাপতি কেন্দ্রীয় পরিষদ |
(মোঃ আমিনুল ইসলাম) সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় পরিষদ |
আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি’র ৩৫তম কাউন্সিল অধিবেশনে ১৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে সমিতি’র এই গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন ও সংযোজনের পর সর্ব-সম্মতিক্রমে অনুমোদিত ও গৃহীত হল।
(মির্জা এ.টি.এম গোলাম মোস্তফা) সভাপতি ও চেয়ারম্যান, ৩৫তম কাউন্সিল অধিবেশন ২০১৯ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস) |
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
- বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস), পূর্ত ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
- টেলিফোনঃ ০২-৪৭১২১৬০৭
- ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৪৭১২১৬০৬
- মেইলঃ bpwddea@gmail.com
© বাপিডিপ্রকৌস ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট HRSOFTBD