বাপিডিপ্রকৌস এর ইতিহাস
হোম / আমাদের সম্পর্কে / বাপিডিপ্রকৌস এর ইতিহাস
" বাপিডিপ্রকৌস এর ইতিহাস "
উপমহাদেশের পূর্ত কর্মের ইতিহাস অনেক পুরনো। মানুষ উন্নত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনের জন্য লতা-পাতা ও খড়ের ঘরের পরিবর্তে কখন থেকে ইমারত তৈরি শুরু করে তা বলা মুশকিল। তবে তিন, সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে হরপ্পা-মোহেনজোদারো নগরীর ইতিহাস আমাদের অনেকেরই জানা। সেখানে পরিকল্পিত নগরী ছিলো, বহুতল ভবন ছিলো। পানি সরবরাহ ও চলাচলের রাস্তাও ছিলো। দীর্ঘকাল পূর্বের এ নগরী হারিয়েও গেছে। কালের সাক্ষী হিসেবে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। তা দেখে মানুষ অভিভূত হয়। এরপরেও অনেক নগরী এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। কালের বিবর্তনে এগুলোও ধ্বংস হয়েছে। এতো গেল যুগ যুগ আগের কথা। কিন্তু কয়েকশ বছরের কথা ভাবলে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে খুঁজে পাওয়া যায়। নির্মাণ কাজে এককমান রক্ষায় এর অবদান অনেক। উপমহাদেশের শুধু ইমারতই নয়, নগর-বন্দরের যাতায়াত ব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালী, বিদুৎ ব্যবস্থা সবকিছুতে পিডব্লিউডির হাত রয়েছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নের একমাত্র সাক্ষী পিডব্লিউডি। এই পিডব্লিউডির নামকরণ কখনও হয়েছে বেঙ্গল পিডব্লিউডি, সেন্ট্রাল পিডব্লিউডি, পাক পিডব্লিউডি, সিএন্ডবি ইত্যাদি। ইতিহাস বলছে ১৮৩২ সালে ব্রিটিশ ভারতের সমুদয় সরকারী পূর্তকর্ম কলকাতাস্থ মিলিটারী বোর্ডের হাতে ন্যস্ত ছিল। ১৮৪৯ সালে স্যার রবার্ট নেপিয়ানকে (পরে ফিল্ড মার্শাল লর্ড নেপিয়ার) প্রধান প্রকৌশলী করে একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের উপর সারা ভারতের পূর্তকর্ম অর্পন করা হয়। ১৮৫৪ সালে এরই অধিনে একটি প্যানেল ডাইরেক্টরেটের উদ্ভব হয়। ১৮৬৪ সালে সেচ ও পূর্ত কর্মসূচি একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অধিনে ন্যাস্ত ছিল। তদানিন্তন ভাইসরয় লর্ড ডালহৌসির আমলেই উক্ত বিভাগটি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট বা পিডব্লিউডি নামকরণ হয়। ১৮৬৬ সনে ব্রিটিশ ভারতে পূর্ত বিভাগটি ৩টি শাখায় সম্প্রসারিত ছিলো। (১) মিলিটারী ওয়ার্কস ব্রাঞ্চ (বর্তমানে এমইএস ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর)। (২) ইরিগেশনসহ পাবলিক ওয়ার্কস ব্রাঞ্চ (বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিভিল এভিয়েশন, বিএডিসিসহ সেক্টর কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় পূর্তকর্ম)। (৩) রেলওয়ে ব্রাঞ্চ (বর্তমানে রেল, পোর্ট, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ইত্যাদি)। ১৮৬৯ সালে কাজের সুবিধার জন্য তদানিন্তন পিডব্লিউডিতে ‘বিল্ডিং এন্ড রোড ব্রাঞ্চ’ নামে একটি আলাদা শাখা গঠন করা হয়। ১৮৭০ সালে গঠিত হয় পাবলিক ওয়ার্কস একাউন্টস ব্রাঞ্চ। ১৮৯৩ সালে Aitchision কমিশনের সুপারিশে একটি প্রাদেশিক সার্ভিস গঠিত হয়। যা বিংশ শতকের মাঝামাঝি সিএন্ডবি নাম ধারণ করে। ১৮৯৫ সালে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রাঞ্চ আলাদা হয়ে যায়। পিডব্লিউডি পুরোপুরি বেসামরিক বিভাগে পরিণত হয়। পরে লোকালসেলফ গভর্ণমেন্ট এর আওতায় ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ও মিউনিসিপ্যালিটি আলাদা হয়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ১৮৯৭ সালে ইলেকট্রিসিটির আর্শীবাদ লাভের জন্য উপমহাদেশে প্রথম জেনারেটিং স্টেশন স্থাপিত হয় কলকাতায়। ১৯০০ সালে পিডব্লিউডিতে স্যানিটারি ইঞ্জিনিয়ারের পদ সৃষ্টি হয়। ১৯০৫ সালে রেলওয়ে আলাদা হয়। এরপর ১৯২৫ সালে পিডব্লিউডিতে হাইড্রোলিক ব্রাঞ্চ খোলা হয়। ১৯২৬ সালে লে. কর্নেল ব্যাসিল সি কনডন বাটটিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার করে আলাদা পিডব্লিউডি ইলেকট্রিসিটি ব্রাঞ্চ উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এখানে কোন প্রদেশ না থাকায় পিডব্লিউডি ও ইমারত পরিদপ্তর ১৯৭৭ সালে পিডব্লিউডি নামে একিভূত হয়। আর এই পিডব্লিউডিতে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিধিবদ্ধ ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রথমে বৃটিশ-ভারতের সাব-অডিনেট ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন (সিপিডব্লিউডি), এরপর যথাক্রমে সাব-অডিনেট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিক এসোসিয়েশন (সিএন্ডবি), পরবর্তীতে ইস্ট পাকিস্তান সাব-এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সমিতি (ইমারত) এবং বাংলাদেশ গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাগডিপ্রস) সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াম সমিতি (পিডব্লিউডি) এর গঠন হয় ২২ অক্টোবর, ১৯৭৮ ইংরেজী তারিখে গৃহীত হয় এবং ১৩ মে, ১৯৮৭ বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস) নাম ধারণ করে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
- বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (বাপিডিপ্রকৌস), পূর্ত ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
- টেলিফোনঃ ০২-৪৭১২১৬০৭
- ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৪৭১২১৬০৬
- মেইলঃ bpwddea@gmail.com
© বাপিডিপ্রকৌস ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট HRSOFTBD